প্রেগনেন্সি রুখতে কিভাবে নিরাপদ সময় গণনা করবেন?

Written by Madhurima Ghosh
Last Updated on

যৌনতা মানসিক ও শারীরিক শান্তি এবং সুস্থতা বহন করে আনে। কিন্তু এই যৌনতাই যখন হঠাৎ গর্ভাবস্থার সৃষ্টি করে তা চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে। কেননা যারা নিজেদের পরিবার পরিকল্পনা করছেন তাদের ক্ষেত্রে এটি আনন্দের হলেও হঠাৎ গর্ভাবস্থার সৃষ্টি হলে তা সকলের ক্ষেত্রে খুশির নাও হতে পারে। যে কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গুলির অনুসরণ করা নিরাপদ। সে ক্ষেত্রে অবাঞ্ছিত গর্ভরোধ করতে জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গুলি মেনে চলতে হয়। তার পাশাপাশি মাসিক চক্রের নিরাপদ দিনগুলি গণনা করে রাখতে হবে যেখানে কোনরকম চিন্তা ছাড়াই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া যেতে পারে। (1)

নিরাপদ পিরিয়ডস কি?

পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে পরবর্তী পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন পর্যন্ত সময়কালটির মধ্যেই গণনা করা হয়। এর মধ্যে পিরিয়ড শুরুর প্রথম দিন থেকে সপ্তম দিন এবং ২১ তম দিন থেকে পরবর্তী পিরিয়ড এর প্রথম দিন পর্যন্ত কোন রকম চিন্তা ছাড়াই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া যায়। এক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তবে এই বিষয়টি সব মহিলাদের ক্ষেত্রে এক হয় না। কেননা শারীরিক গঠন এবং পিরিয়ডস এর দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে। কেননা গড় মাসিক চক্র টি ২৮ দিন বা তার কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে কারো মাসিক চক্রের পরবর্তী সময়কাল যদি ২৮ দিনের বেশি হয় সে ক্ষেত্রে নিরাপদ সময় গণনা করা খানিকটা কঠিন হয়ে পড়ে। (2)

অবাঞ্ছিত গর্ভরোধের সঠিক সময় :

মাসিক চক্র বা পিরিয়ডের সময় কালকে মহিলাদের শারীরিক গঠন অনুযায়ী তিনটি স্তরে ভাগ করা হয়। যা এক পিরিয়ডস থেকে অন্য পিরিয়ডের শুরুর মাঝের ২৮ দিন সময়ের মধ্যে হয়ে থাকে।

১) প্রাক ওভুলেট্রি বা ফোলিকুলার ফেজ:

এটি মাসিক চক্রের দ্বিতীয় থেকে ১৪ তম দিনের মধ্যে ঘটে। যখন শরীর হরমোন গুলি ছেড়ে দেয়। যা ডিম্বাশয় গুলিতে ডিমকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং হরমোন গুলি গর্ভধারণের জন্য ডিম কে নিষিক্ত ডিম গ্রহণ করতে সক্রিয়তা দান করে। এই পর্যায়টি হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। (3)

২) ওভুলেটন ফেজ :

এই প্রক্রিয়াটি মাসিক চক্রের মাঝখানে ঘটে। যখন একটি পরিপক্ক ডিম্বাশয় ফার্টিলাইজেশন এর জন্য একটি ডিম উন্মুক্ত করে। এটি হলো সবচেয়ে সংবেদনশীল পর্যায়। যেখানে একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা থাকে।

৩) পোস্ট ওভুলেটরি :

এটি হল মাসিক চক্রের তিনটি পর্যায় এর শেষ বা অন্তিম পর্যায়। যা ওভুলেশন শেষ করে পরবর্তী মাসিক চক্র শুরু করার প্রস্তুতি নেয়। এই অবস্থাটি ১০ থেকে ১৬ দিন স্থায়ী হয়। গড়ে ১৪ দিন। তবে এটি ১২ দিনের কম সময় হলে সে ক্ষেত্রে গর্ভবতী হওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে এই সময়সীমা শারীরিক গঠন অনুযায়ী এক একজন নারীর দেহে এক এক রকম হয়ে থাকে।

নিরাপদ সময় গননার ক্যালেন্ডার
রবিবারসোমবারমঙ্গলবারবুধবারবৃহস্পতিবারশুক্রবারশনিবার
পিরিয়ড শুরুর দিন 1234567নিরাপদ সময়
891011121314অনিরাপদ সময়
15161718192021
22232425262728
পিরিয়ড শুরুর দিন 293012345

গর্ভবতী না হওয়ার উপযুক্ত সময় :

একটি মাসিক চক্রের সময়সীমা গণনা করা হয় একটি পিরিয়ডের প্রথম দিন থেকে পরবর্তী পিরিয়ডের প্রথম দিন পর্যন্ত। এই সময়সীমায় মাসিক চক্র শুরুর প্রথম দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত এবং ২১ দিন থেকে পরবর্তী মাসিক শুরুর আগে পর্যন্ত সময়কে নিরাপদ সময় হিসাবে গণ্য করা হয়। এই সময় সীমার মধ্যে গর্ভবতী হওয়ার চিন্তা ছাড়াই নিশ্চিন্তে সেক্স করা যায়। যদিও এই সময়সীমা সব মহিলাদের ক্ষেত্রে এক হয় না। এটি সম্পূর্ণই মহিলাদের মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করে হয়। মোটামুটি একটি মাসিক থেকে পরবর্তী মাসিকের মাঝে ২৮ দিন কিংবা তার কম ব্যবধান থাকে। তবে যদি কারো ক্ষেত্রে এই ব্যবধান বেশি হয় সেক্ষেত্রে নিরাপদ সময় গণনা মুশকিল হয়ে পড়ে। (4)

নিরাপদ সময় গণনার বিভিন্ন পদ্ধতি

নিরাপদ সময় গণনার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। কেননা এটির সামান্য ভুলে, ভুল ফলাফল আসতে পারে। এর পাশাপাশি মাথায় রাখতে হবে অনিরাপদ দিনগুলিতে সহবাসের ক্ষেত্রে কনডম কিংবা গর্ভনিরোধক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে।

নিরাপদ সময় কাল নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুটি পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে।

  1. নিরাপদ সময় কাল ক্যালকুলেটর।
  2. প্রজজন সচেতনতা ভিত্তিক পদ্ধতি।

নিরাপদ সময় কাল ক্যালকুলেটর :

এই ক্যালকুলেটরের সাহায্যে মাসিক চক্রের পরিবর্তনগুলি সঠিকভাবে নির্ধারণ করে নিশ্চিন্ত সহবাসের জন্য নিরাপদ সময়টি সম্পর্কে জানা যাবে। এই ক্যালকুলেটরে শেষ মাসিক চক্রের প্রথম দিনটি এবং সেই মাসিক চক্রের সময় কাল লিখেই সহবাসের নিরাপদ সময়টি জানা যাবে।

কারা নিরাপদ সময় কাল ক্যালকুলেটর টি ব্যবহার করতে পারবেন?

যাদের শেষ ছয় মাস যাবত মাসিক চক্রের গড় দৈর্ঘ্য ২৬ এবং ৩২ দিনের মধ্যে এবং সর্বনিম্ন এবং দীর্ঘতম চক্র গুলির মধ্যে পার্থক্য সাত দিন কিংবা তার কম সময়ের তারাই এটি ব্যবহার করতে পারবে।

কারা নিরাপদ সময় কাল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন না

মাসিক চক্রের গড় দৈর্ঘ্য ২৬ দিন কিংবা তার কম সময়ের মধ্যে হলে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও সন্তানের জন্মের পরে ৬ মাস পর্যন্ত এটি ব্যবহার করা যাবে না। (7)

প্রজজন সচেতনতা ভিত্তিক পদ্ধতি :

প্রজজন সচেতনতা এক প্রকার প্রাকৃতিক পরিবার পরিকল্পনা হিসেবে পরিচিত। যা মাসিক চক্রের নিরাপদ এবং অনিরাপদ দিনের পূর্বাভাস দেয়। এই পদ্ধতিটিতে মূলত শরীরের হরমোনের কিছু প্রতিক্রিয়া ওপর ভিত্তি করে আভাস পাওয়া যায়।

কোন পরিস্থিতিতে এই পদ্ধতিটি কাজ করে?

এটার সাহায্যে কোন সময়টি আপনি যৌনতা এড়াতে পারেন কিংবা শুক্রাণুকে কোষ থেকে দূরে রাখার জন্য গর্ভ নিরোধক ব্যবহার করতে পারেন তা জানানো হয়। একটি প্রজজন প্যাটার্ন ট্র্যাক করতে পারলে যৌনতার সঠিক সময় সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। (4.)

বিভিন্ন প্রজজন সচেতনতা ভিত্তিক পদ্ধতি

অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন প্রজজন সচেতনতা ভিত্তিক পদ্ধতি রয়েছে। এক নজরে দেখে নিন :

  1. শারীরিক তাপমাত্রা নির্ধারণ পদ্ধতি : এটি মূলত আপনার শরীরের তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। যা প্রতিদিন পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে জানা যাবে ওভ্যুলেশনের সময় শারীরিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
  1. ওভুলেশন পদ্ধতি : এই পদ্ধতির দ্বারা মাসিক চক্রের প্রথম স্টেজের কিছু পরিবর্তন দেখা যায়। যার ফলে যখন ওভুলেট হয় তখন কিছু ভ্যাজিনাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
  1. ক্যালেন্ডার পদ্ধতি : এই পদ্ধতির মাধ্যমে মাসিক চক্রের সময় সীমা এবং ব্যবধান গণনা করা যায়।
  1. নিরাপদ সময় পদ্ধতি : আপনার মাসিক চক্রের ব্যবধান যদি ২৬ থেকে ৩২ দিন পর্যন্ত হয় তাহলে এটি আপনার ওপর কার্যকরী। সে ক্ষেত্রে এই তালিকা ৮ থেকে ১৯ তম দিন আপনার জন্য অনিরাপদ।

জন্মনিয়ন্ত্রণের কৃত্রিম পদ্ধতি :

গর্ভধারণ কিংবা গর্ভরোধ সম্পূর্ণ বিষয়টি মানুষের প্রয়োজনীয়তা এবং মানসিকতার উপর নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে যারা গর্ভধারন করতে চান তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ প্রেগনেন্সি সুখের কারণ কিন্তু যারা গর্ভধারণ করতে চান না তাদের ক্ষেত্রে হঠাৎ গর্ভাবস্থা দুশ্চিন্তার সৃষ্টি করে। যে কারণে প্রত্যেক যৌন সম্পর্ক করার সময় জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি মাথায় রাখতে হবে। যার জন্য কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যেগুলোর সাহায্যে অবাঞ্ছিত গর্ভরোধ করা সম্ভব হয়। কেননা একটি ভ্রূণ একবার সৃষ্টি হলে সেটি নষ্ট করা যেমন কষ্টের, তেমনি তা গর্ভবতী মহিলার ওপরেও প্রভাব ফেলে। যে কারণে গর্ভাবস্থা এড়াতে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করতে হবে, সেগুলি হল:

  • কনডম : গর্ভাবস্থা এড়াতে অন্যতম প্রয়োজনীয় বস্তু হল কনডম। এটির মাধ্যমে একটি নিরাপদ এবং নিশ্চিন্ত যৌন সম্পর্ক উপভোগ করা যায়। এগুলি অন্যান্য যে কোন গর্ভনিরোধক পদ্ধতির তুলনায় যথেষ্ট ভালো। যদিও 100% এটি নিরাপদ না হলেও এইচআইভি কিংবা যৌনাঙ্গের কোন রোগ থাকলে কনডম ব্যাবহারে সে ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমই থাকে।
  • জন্মনিরোধক বড়ি : বাজারে ওষুধের দোকান গুলিতে বেশ কিছু নামী দামী কোম্পানির জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি পাওয়া যায়। যেগুলি যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে খেলে অবাঞ্ছিত প্রেগনেন্সি রোধ করা সম্ভব হয়। তবে এগুলির ক্ষেত্রে বেশ কিছু শারীরিক প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। মূলত স্থূলতা কিংবা হঠাৎ শরীরে হরমোনের পরিবর্তন জনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পথচলতি ওষুধের দোকান থেকে জন্ম নিরোধক বড়ি কিনে না খাওয়াই বাঞ্ছনীয়।
  • লাইগেশন : এই পদ্ধতির দ্বারা মহিলাদের অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর মাধ্যমে মহিলাদের শরীরে টিউব লাইগেশন করা হয়।
  • ভ্যাসেকটমি : এই পদ্ধতির দ্বারা পুরুষদের নির্বীজন করা হয়। যাতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়।

জন্মনিয়ন্ত্রণে FAM এর ভূমিকা :

জন্মনিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে ফ্যাম বা প্রজনন সচেতনতা পদ্ধতি। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এক বছর ধরে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে ১০০ জন দম্পতির মধ্যে মাত্র ২৪ জন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোনরকম বিচ্যুতি না ঘটিয়ে সঠিক ভাবে এই পদ্ধতি মেনে চললে ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ১ থেকে ৯ জন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (5)

জেনে নিন এই পদ্ধতি কিভাবে কাজ করবে?

  1. সাবধানে নির্দেশাবলী মেনে চলতে হবে।
  2. আপনার সঙ্গী কেউ এই পদ্ধতির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
  3. নির্দেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দিনগুলিতে সমস্ত জিনিস ব্যবহার করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনার সঙ্গীর সহযোগীতা একান্ত কাম্য।

গর্ভাবস্থা এড়াতে ফ্যাম-র উপকারিতা কি?

  1. এটি সুবিধাজনক, সস্তা এবং ব্যবহারের জন্য নিরাপদ।
  2. এর মাধ্যমে আপনি ক্যালেন্ডার, চার্ট এবং থার্মোমিটার সহজেই পেতে পারেন।
  3. গর্ভাবস্থা পরিকল্পনা করতে একটি অন্যতম পদ্ধতি। (6)

নিরাপদ সময়ে সহবাসের ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন?

কোন সময়কেই ১০০% নিরাপদ হিসেবে গণ্য করা যায় না। কেবলমাত্র নিরাপদ সময় এর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আপনার মাসিক চক্র আবর্তিত হলেই একমাত্র এটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। অন্যথায় যৌনতার জন্য নিরাপদ সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি হতে পারে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে মাসিক চক্রের সময় সীমা যদি শেষ ছয় মাসের মধ্যে ৮ দিনের বেশি হয় তাহলে নিরাপদ দিনের গণনা আপনার ক্ষেত্রে কাজ করবে না। সে ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় এড়ানোর জন্য কখনো কখনো আপনাকে গর্ভনিরোধক বড়ি ব্যবহার করতে হবে।

প্রেগনেন্সির চিন্তা ছাড়াই যৌন সম্পর্কের উপায়

গর্ভধারণের চিন্তা ছাড়াই একটি সুস্থ যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

  1. গর্ভনিরোধের সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল কনডমের ব্যবহার। সে ক্ষেত্রে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের সময় কনডমের ব্যবহার করতে হবে।
  1. কখন-সখনও এক ভাবে কিংবা একই অবস্থানে সেক্স করতে করতে বিরক্তি এসে গেলে সে ক্ষেত্রে এতে কিছু নতুনত্ব যোগ করতে হবে। হতে পারে আপনার ঘরকে আরো মোহময় করে সাজিয়ে তুলতে হবে কিংবা এক নাগাড়ে করা একই পদ্ধতিগুলির পরিবর্তন করতে হবে। এতে আপনি এবং আপনার সঙ্গীর যৌন চেতনা আরো জেগে উঠবে। কখনো প্রয়োজনে অন্য কোথাও গিয়েও যৌন সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ করতে পারেন।
  1. সেক্সটয়ের ব্যবহারের মাধ্যমেও একটি নতুন যৌন উন্মাদনার স্বাদ আস্বাদন করতে পারেন।

এভাবেই বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে সঠিক ভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। এর পাশাপাশি আপনার মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট দিনক্ষনের নিরাপদ সময়টি আপনি গণনা করতে সক্ষম হবেন।

Was this article helpful?
thumbsupthumbsdown

Community Experiences

Join the conversation and become a part of our vibrant community! Share your stories, experiences, and insights to connect with like-minded individuals.

Latest Articles